ভেবে দেখুন- করোনায় মৃত্যুর চেয়ে,
কেনো, ক্ষুদায় মৃত্যু অনেক অনেক শ্রেয়।
এতে আপনি ও আপনার পরিবার
সবদিক বিবেচনায় নিরাপদ থাকবেন।
যদিও ক্ষুদায় মৃত্যু বরন
দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কল্পনাতীত।
আপনার লাশ ধর্মীয় রীতি নীতি অনুযায়ি জানাজা পূর্বক গোসল হবে।
পরিবারে সদস্যরা শোকাবহ বেদনাদায়ক পরিবেশে আপনার পাশে থাকবে।
আপনার জানাজায় আপনার আত্নীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব পাড়া প্রতিবেশী শুভাকাঙ্ক্ষী সবাই উপস্থিত থাকবে।
আপনার জন্য দোয়া হবে।
আপনার পরিবারের অন্য সদস্যদের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্ভাবনা থাকবেনা।
আপনার পরিবার পরিজন
সামাজিক নিরাপত্তাহীতার
যন্রনাদয়ক পরিস্থিতিতে বিভ্রান্তিতে পরবেনা।
আপনার বাড়িসহ পুরোএলাকা লকডাউন হবেনা।
জনমনে আতঙ্কও ছড়াবেনা।
আর যদি আপনার সামান্যঅবহেলা,
উদাসীনতা ও খামখেয়ালীপনার জন্য করোনায় মৃত্যু হয়,
তবে আপনি আপনার পরিবার পরিজন সহ সবাই এই সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন
এবং সমগ্র এলাকাজুড়ে নিরাপত্তাহীতায় পরবে,আতঙ্কিত হয়ে পরবে।
যা কারো জন্যই সুখকর নয়, কাম্য নয়।
তাই সবার আগে জীবন, তারপরে জীবিকা।
যেখানে জীবনের নিশ্চিয়তা নেই
সেখানে আপনার জীবিকার সুবিধাভুগী
কে হবেন, একবার ভেবে দেখুন,
উত্তর পেয়ে যাবেন।
করোনা সংক্রমণ কতোটা যে- যন্ত্রণাদায়ক,কস্টকর ও
আতঙ্কের তা আপনাকে উপলব্ধি করতে হবে।
সুতরাং আপনি আপনার নিজস্ব স্বার্থপরতায়, খামখেয়ালীপনায়, উদাসীনতায় এবং অনর্থক বিনোদনের বিলাসিতা থেকে
নিজেকে বিরত রাখুন এবং
অন্যজনকে সতর্ক করুন।
ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে এই জাতি,
স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে এই জাতি,
এই জাতি বীরের জাতি,
এই জাতির ইতিহাস, বীরত্বের ইতিহাস
এই জাতি কষ্টসহিষ্ণু জাতি,
এই জাতি ধর্মপ্রাণ দেশপ্রেমিক জাতি।
তাই অযথা
করোনার জন্য জীবনটাকে
বিসর্জন দেয়ার কোন মানেই হয়না।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের
আচার আচরণে মনে হয়
এবার করোনার জন্য জীবন বিসর্জন দিতে প্রস্তুত হয়েই আছে।
এ কেমন আচরণ ?
এ কেমন আত্মবিনাশের খেলা ?
নিজেদের জীবন মূল্যহীন প্রমানের আহাম্মকিপনা তো মেনে নেয়া যায়না…!!
আপনি যেহেতু একটি প্রান বাঁচাতে পরছেননা
সেহেতু অন্যের জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতেও পারেন না।
অতএব সাবধান,
সতর্ক থাকুন,ঘরে-ই থাকুন।
বেঁচে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন এবং সবাইকে নিয়ে ভালো থাকুন।
শীগ্রই দেখা হবে ইনশাআল্লাহ !!
পুনশ্চঃ লেখাটা সম্পুর্ণ নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। আজই তা ঘটেছে।
মোতাহার মাসুম সিকদার।